Tuesday, 28 January 2020
Sunday, 26 January 2020
খদ্দেরদের আনন্দের কবিতার বই
“খদ্দেরদের আনন্দের কবিতার বই”
আজকাল সবাই বেশি-বেশি কবিতা লিখে ফেলছে
আমি বুড়ো হয়ে গেলুম কিন্তু বেশি-বেশি কবিতা লেখা হল না
আজকাল সবাই বেশি-বেশি কবিতার বই প্রকাশ করছে
আমি বুড়ো হয়ে গেলুম কিন্তু বেশি-বেশি বই বের করা হল না
বন্ধুরা যৌবনে সোনাগাছিতে কবিতার বই বিলোতো
তখন বুকে আর পাছায় সিলিকন জেল দরকার হতো না
ঠোঁটকে মৌমাছি-কামড়ানো করার ইনজেকশান নিতে হতো না
মুখকে যৌবনে ফেরাবার প্লাসটিক সার্জারি করবার দরকার হতো না
সব মেয়েই সুন্দরী ছিল বলে বন্ধুরা তাদের কবিতার বই বিলোতো
তাদের মালখোর মাসকাবারি খদ্দেরাও বেজায় তাকধিনাধিন খুশি
অচেনা কবিদের কবিতা-পাঠিকা-বিদুষীর বিছানায় রাত কাটিয়ে
দেশে-বিদেশে
“দেশে-বিদেশ”
পতাকা উত্তোলনের জন্য উনি দড়ি টানলেন
পতাকা খুললো না
ফুলসুদ্ধ পুঁটলি ওনার পায়ের কাছে এসে
আছড়ে পড়ল
উনি পতাকাহীন আছোলা দণ্ডের দিকে তাকিয়ে
স্যালুট দিলেন
যথারীতি কিছুক্ষণ দেশপ্রেমের বাজনা বাজলো
ততোক্ষণ উনি গম্ভীর মুখে স্যালুট অবস্হায়
Saturday, 25 January 2020
আমি বাবার মতন শ্রমিক হতে পারলুম না
“আমি বাবার মতন শ্রমিক হতে পারলুম না”
রাজা, নবাব, জমিদারদের পরিবারের সুন্দরীদের
পেইনটিঙ আঁকতেন দাদু আর মোটা টাকা পেতেন
বাবা তরুণীদের বিয়ের জন্য ফোটো তুলে দিতেন
রিটাচ করে সুন্দরী করে তুলতেন যাতে পাত্ররা ফোটোর প্রেমে পড়ে
যাতে মেয়েগুলোর হিল্লে হয় আর যৌতুক কম লাগে
বাবার মগজে এই তরুণীরা তেমন হেলডোল তুলতে পারতো না
অথচ আমি তরুণীদের দেখলেই চনমনে হয়ে উঠতুম
বারবার প্রেমে পড়ার রোগ ধরে গেল আমার
এক ফাঁদ থেকে বেরিয়ে আরেক ফাঁদে গিয়ে আটকে পড়তুম
বেরোবার জন্য ছটফট করতে-করতে বেরিয়ে যেতুম
আমি বাবার মতন শ্রমিক হতে পারলুম না
Friday, 24 January 2020
ভালো মেয়ে - খারাপ মেয়ে
“ভালো মেয়ে - খারাপ মেয়ে”
আমি বেঁচে থাকতেই
ভালো মেয়ে আর খারাপ মেয়ের ধারণা পালটে গেল
তখন কোনো মেয়ে মদ খেলেই সে খারাপ
এখন মেয়েরা ককটেল তৈরির ফরমুলা বাতলায়
তখন মেয়েরা লুকিয়ে চুমু খেতো
এখন মেয়েরা ডিসকোয় মলে মালটিপ্লেক্সে আলগোছে চুমু খায়
লাইটপোস্টের তলায় দাঁড়িয়ে শীতকালে চুমু খায়
টেপাটিপি করে ; তখন টেপাটিপি ছিল একদম নো-নো
তখন শুধু প্রেমিক বা বরকে চুমু খেতে দিত
এখন যাকে পছন্দ তাকে চুমু খায় যেখানে পছন্দ হাত দিতে দেয়
তখন মেয়েরা গোড়ালি পর্যন্ত শাড়ি পরত
এখন ইচ্ছে করলে হাঁটুর ওপর উরু পর্যন্ত স্কার্ট পরে
তখন মেয়েরা গরু শুয়োর খেতো না
এখন আফ্রিকার আর অসট্রেলিয়ার বুশ মিট খায়
তখন মেয়েরা হাজব্যাণ্ড সোয়াপিং করত না এখন অনেক জুটি করে
তখন আমার উচিত ছিল বুড়ো হওয়া আর এখন যুবক, হায়
জিনগত দোষ
“জিনগত দোষ”
কবি, অথচ অন্য কবিদের হিংসে করবে না
এটা মানা যায় না
হায়না, অথচ দলবেঁধে পচামাংস ছেঁড়াছিঁড়ি করে খাবে না
এটা মানা যায় না
টাইগার শার্ক, অথচ পেঙ্গুইনদের ছত্রভঙ্গ করে লুফে-লুফে খাবে না
এটা মানা যায় না
আফ্রিকার অতিমাংসাশী জংলি কুকুর জ্যান্ত হরিণকে ছিঁড়ে খাবে না
এটা মানা যায় না
কবি, অথচ অন্য কবিদের হিংসে না করলে বুঝবেন
তার জিনগত দোষ আছে : রবীন্দ্রনাথকেও কবিরা হিংসে করত
Thursday, 23 January 2020
কৌমকান্না
“কৌমকান্না”
এই শালা বিদ্ধস্ত পুরুষ, সটাসট গিলছে ককটেল
কাউন্টারের কুর্সিতে বসে কাঁদছে নিজস্ব কান্না
সামনের প্লেটে পেস্তা আখরোট হ্যাজেলনাটগুলো
মদের সঙ্গেই পায় অথচ খাচ্ছে না । এখানে তো জুটি ছাড়া
ঢুকতে দেয় না, নিশ্চয়ই কোনো পথবেশ্যা তুলে এনে
ডিসকোর শীতাতপ সুগন্ধী ঘেমো ভিড়ে নাচতে পাঠিয়েছে
সঙ্গীতের কানফাটানো প্যাঁদানির চোটে উদ্দাম নাচছে যৌবন
আমি নিশ্চিত, সারা দেশ জুড়ে, এই সময়ে, হাজার হাজার
হাফ-প্রৌঢ়রা, কাঁদছে কোনো না কোনো শুঁড়িখানার আধোঅন্ধকার
গ্যাঞ্জামে । কালকে সকালে ফিরে যাবে লাৎখোর দিনানুদৈনিকে ।
Sunday, 5 January 2020
Friday, 3 January 2020
অবন্তিকা বানুর জন্য প্রেমের কবিতা
অবন্তিকা বানুর জন্য প্রেমের কবিতা
অবন্তিকা বানু, রাষ্ট্রের দিকে তোলা তর্জনী থেকে
যে স্ফূলিঙ্গ ছড়িয়ে দিলি তুই
দেখেছিস, বোরখা থেকে বেরিয়ে এসেছেন বুড়ি আর তরুণীরা
মাথায় হিজাবঘোমটা অবন্তিকাবানু
প্রান্তকে টেনে এনে মেইনস্ট্রিমে মিলিয়ে-মিশিয়ে দিলি
এই বদল একদিনের নয়
এমনকি শুধুই বদল নয় তোর ওই তর্জনী তোলা
ভেতরে-ভেতরে ভয়ংকর ওলোটপালোট করে দিলি
তোর দেখাদেখি হিজাবঘোমটা ফেলে হাজার তরুণী
রাষ্ট্রের দিকে ওঠাচ্ছে তর্জনী
হয়তো তুই শুধু ছবি হয়ে থেকে যাবি কৌম-আয়নায়
কিন্তু ওই তর্জনী তোলা ভুলবে না কেউ
সশস্ত্র পুরুষদের তোর ধমকানি এবং হুঁশিয়ারি
আমার আশিতম জন্মদিনে সবচেয়ে দামি উপহার
Subscribe to:
Posts (Atom)