মলয় রায়চৌধুরীর নির্বাচিত কবিতা

Thursday, 30 April 2020

অবন্তিকার কমপ্লেকসিটি

অবন্তিকার কমপ্লেকসিটি
শ, যে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, অবন্তিকার  প্রেমিক নং ১, ইংলিশ
          মিডিয়াম স্কুলে পড়বার সময়ে ওর সঙ্গে ইংরেজিতে
          প্রেম করতো ।
শ-এর বাবা জ ( দুই ) ফরাসিদেশ থেকে হটেনটট ভেনাসের যোনি
          কিনে এনেছিলেন ( কথিত আছে )।
জ ( এক ) যিনি অবন্তিকার মেশোমশায়, তা জানতে পারেন, শ-এর
          বাড়ি যেতে বারণ করে দ্যান।
অলোকনন্দা গোস্বামী দোলের দিন রঙ খেলতে চায়নি বলে শিফন
          শাড়ি পরেছিল।
অবন্তিকার খুব ঈর্ষা হল, শিফন শাড়ি দিয়ে অলোকনন্দার মাইয়ের
           খাঁজ দেখা যাচ্ছিল ।
জ ( দুই ) নামকরা পেইনটার, উনি কেবল যুবতীদের খাঁজ আঁকেন,
           কলকাতার কালবৈশাখিতে অনেকের খাঁজে জল চুয়েছিল
অবন্তিকার মনে হতো প্রেম কেবল মাতৃভাষায় সম্ভব, একদিন  
          অ্যানাইস নিনকে লেখা হেনরি মিলারের চিঠি পড়ে বুঝতে
          পারলো যে শ বই থেকে টুকলিফাই করেছিল ।
ক্লাসটিচার সিসটার ব ( এক ) আয়ারল্যাণ্ডে ফিরে গেলেন, তাঁর
          বদলি টিচার কেরালার, সিসটার আইয়াক্কম ।
জ ( দুই ) কেরালার টিচারকে বাইবেল উপহার দিলেন, যাতে কালচে
         খাঁজ আঁকতে পারেন ।
অবন্তিকা ২নং প্রেমিক খ ( তিন ) এর দিকে ঝুঁকলো, কেননা
          সে স্কুলে বাংলায় প্রথম হতো আর অবন্তিকার মেসোর
          ওপন হার্ট সার্জারির খরচ দিয়েছে।
প্রতিদান হিসেবে অবন্তিকা খ ( তিন ) কে ব্লাউজে হাত ঢুকিয়ে
          টিপতে অনুমতি দিয়েছিল ( আহা কী আনন্দ )।
মিস্টার শৈলেন বোস মারা গেছেন । মিস্টার অজিত গাঙ্গুলিও।
         অবন্তিকা ওনাদের নাম শোনেনি ।                          
দ ( দুই ) এর দপতরে শ চাকরি করতে গেল ; খ ( তিন )
          ইটালির একজন ছাত্রীর সঙ্গে চলে গেল বিদেশে ।
প্রেম সম্পর্কে অনির্বাণের কোনো ধারণা গড়ে ওঠার আগেই র-নামের
          স্কুল থেকে সে দ-নামের কলেজে ভর্তি হবার পর অবন্তিকা
          যাকে সবাই অবু বলে ডাকতো, পরিচয়ের প্রথম দিনেই বললে
          আমি ডেটিং-ফেটিং করি না।
অনির্বাণ, যে জ ( দুই ) এর জারজ ছেলে, উত্তরে বলেছিল, আমিও
          ফাকিং-সাকিং করি না । বেচারা ন্যাড়া বোষ্টম হয়ে গেল।
“মেয়েদের মাসিক প্রকাশ করা উচিত নয়”, সাইনবোর্ডে লেখা, তলায়
          পেইনটিঙ, জিনস-পরা যুবতীর মাসিক হবার রক্ত লেগে।
           পত্রিকার নাম ‘আরেত্তেরি ইস কি মা কা আঁখ’ ।
পড়ার পর অবন্তিকা নিজের পাছায় হাত দিয়ে চেক করে নিল। নেই।
          যুবতী সাইনবোর্ড থেকে নেমে জিগ্যেস করল, পাতা ফুঁকবে?
মইনুদ্দিন খানের কাঁধে হাত রেখে জ ( এক ) নির্বাচনে কজন মারা
          গেছে তা আলোচনা করতে-করতে গেল।
কালবৈশাখির মেঘ একটু একটু করে জমা হচ্ছে, ছাতা আনেননি
          কেরালার টিচার, ওনার খাঁজ অতিপবিত্র, দেখানো যাবে না
          বৃষ্টির জল তা মানতে বাধ্য নয় ।
শ একদিন জানতে পারলো তার বাবা জ ( দুই ) যাকে হটেনটট
          ভেনাসের যোনি বলে সকলকে ঈর্ষায় পুড়িয়েছেন তা আসলে
          ফরম্যালিনে চোবানো বড়ো বাদুড়
খবরের কাগজে সংবাদটা পড়ে ম, যার সঙ্গে স্নাতকোত্তর পড়ার সময়ে
          অবন্তিকার পরিচয় হবে, নিজেকে বলেছিল কি লজ্জা কি লজ্জা
          মরা বাদুড় দেখেও লিঙ্গোথ্থান হয় ।
অনির্বাণ বোষ্টম হয়ে এক সুন্দরী বোষ্টমীকে ফাঁসিয়েছে, কী কুক্ষণে যে
          লটারির টিকিট কিনেছিল দশ লক্ষ টাকা পেয়ে চুল গজালো।
অবন্তিকা একদিন ম-কে কাফে কফি ডে-তে বললে যে ওর একটা মাই
          কেউ এখনও টেপেনি ।
ম বলেছিল, চিন্তা করিসনি, আমি টিপে দেবো । ম এমনই চরিত্রহীন যে
          তার আগেই শ-এর খুড়তুতো বোনের মাই টেপার অফারের
          সদ্ব্যাবহার করে ফেলল।
খবরের কাগজের উত্তর সম্পাদকীয়তে হটেনটট ভেনাসের আসল যোনি
          আর জ ( দুই )-এর বাদুড় যোনির তুলনা প্রকাশিত হলো।
পেইনটিঙের সমালোচকরা আবিষ্কার করলেন জ ( দুই ) এর খাঁজের
          তেলরঙগুলো আসলে বাদুড়দের ছবি ।
ম একদিন অবন্তিকাকে প্রস্তাব দিল যে পূর্ণিমার রাতে সেন্ট্রাল পার্কের
          ঘাসে ফুলশয্যা করা যাক ।
ম-এর মা ট ( দশ ) পার্কে সঙ্গমরত দুজন মানুষকে ভাবলেন ভুত আর
          ভুতনির অষ্টাঙ্গদশা, দেখেই দুহাত তুলে দৌড়োলেন ।
ম-এর বড়ো ভাই প ( এক ) মাকে দৌড়ে আসতে দেখে সাপ মারার
          লাঠি নিয়ে পার্কে ছোটোভাইকে দেখে চটে গেলেন।
ম-এর মা ট ( দশ ) বড়ো ভাই প ( এক ) কে স্তোক দিলেন যে তোকে
          তিনচারটে মেয়ের সঙ্গে একই দিনে বিয়ে দেবো।
ট ( দশ ) এর ছোটোবোন ট ( নয় ) যে জ ( এক )-এর ডিভোর্সি বউ
          তা কেবল অবন্তিকা আর ম জানতো।
ট ( নয় ) ম-কে বললেন, ঘাসে লীলেখেলা করিস কেন রে, হাঁটু ছড়ে
          যাবে, আমার বাড়ির ব্যবহার-না-করা বিছানা তো ছিলই।
ট ( নয় ) এর ব্যবহার-না-করা বিছানায় লিলেখেলা করার সময়ে ম-কে
         অবন্তিকা বললে, তুমি আমার প্রেমিক নং ১৮ ।
ম অবাক হলো যে এর আগে সতেরোজন প্রেমিক কি বিছানার চাদরে
         রক্ত মাখাতে পারেনি !
অবন্তিকা ম-কে জানালো যে জ ( এক ) যিনি ওর মেসোমশায় তিনি
         এই শহরের ভার্জিনিটি রিপেয়ার বিশেষজ্ঞ ।
শ, যে চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট, জ ( এক )-এর ভার্জিনিটি রিপেয়ারের
         হিসেব রাখে, তার কাছ থেকে ম জানতে পারলো যে এই শহরের
         প্রতিটি ভার্জিনের ভার্জিনিটি রিপেয়ার করা ।
জ (এক ) আর জ ( দুই ) দুজনেই তাঁদের স্হাবর-অস্হাবর সম্পত্তি ম
         আর অবন্তিকাকে লিখে দিয়ে গেছেন ।
ম আর অবন্তিকা ছেলে মেয়ে বউ জামাই নাতি নাতনি নিয়ে এখন সুখে
         থাকার চেষ্টা করে অথচ পারে না ।
         
         






























Posted by Malay Roy Choudhury at 04:52

No comments:

Post a Comment

Newer Post Older Post Home
Subscribe to: Post Comments (Atom)

Malay Roychoudhury with researcher Daniela Cappello

Malay Roychoudhury with researcher Daniela Cappello
গবেষক ড্যানিয়েলা ক্যাপেলোর সঙ্গে মলয় রায়চৌধুরী

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Malay Roychoudhury as Faquir

Malay Roychoudhury drawn by Sanchayita Bhattacharjee

Malay Roychoudhury drawn by Sanchayita Bhattacharjee
Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Designed by Sanchayita Bhattacharjee

My Avid Readers

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Designed by Sanchayita Bhattacharjee

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Designed by Sanchayita Bhattacharjee

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Designed by Sanchayita Bhattacharjee

Malay Roychoudhury

Malay Roychoudhury
Designed by Sanchayita Bhattacharjee

কবিতাসমগ্র প্রথম খণ্ড

কবিতাসমগ্র প্রথম খণ্ড
কবিতাসমগ্র প্রথম খণ্ড

Signature of Malay Roychoudhury

Signature of Malay Roychoudhury
মলয় রায়চৌধুরীর সই

'জখম' কাব্যগ্রন্হের প্রচ্ছদ

'জখম' কাব্যগ্রন্হের প্রচ্ছদ
'জখম' কাব্যগ্রন্হের প্রচ্ছদ

Total Pageviews

Followers

Blog Archive

  • ►  2023 (2)
    • ►  April (2)
  • ►  2022 (10)
    • ►  December (1)
    • ►  October (4)
    • ►  February (4)
    • ►  January (1)
  • ►  2021 (47)
    • ►  December (6)
    • ►  October (8)
    • ►  September (6)
    • ►  August (8)
    • ►  July (4)
    • ►  May (2)
    • ►  April (3)
    • ►  February (5)
    • ►  January (5)
  • ▼  2020 (165)
    • ►  December (23)
    • ►  November (5)
    • ►  October (5)
    • ►  September (2)
    • ►  August (54)
    • ►  July (5)
    • ►  June (5)
    • ►  May (18)
    • ▼  April (28)
      • কারে বোধি কয়
      • অবন্তিকার কমপ্লেকসিটি
      • মৃত্যু - একটি আভাঁ গার্দ কবিতা
      • টু-পাইস ফাদার-মাদার প্রকল্প - একটি পোস্টমডার্ন কবিতা
      • বং
      • আইরিস গাছ, রাইজোম
      • শহিদ, দুরকম
      • কী হয় কী হয় কিংবা রেখো মা দাসেরে - একটি পোস্টমডার্...
      • প্রণয়কারবারি
      • প্রথম বৃষ্টি
      • ধ্রুপদি জোচ্চোর
      • টেলিফোনে ঝিঁঝি
      • অভিধার তল্পিবাহক
      • অনুসন্ধান
      • স্যার, শুধুমাত্র কবিতার জন্য
      • আমি বাদলা-পোকার মতন অমর
      • পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে বাঁচাতে হলে
      • যাত্রীনিবাসে বঙ্গধর্ষণ
      • মরার পরেও লেখা বজায় রাখব
      • দেবতা
      • আহ্লাদ
      • স্বর্গ
      • যে-পার্টি চাইছেন সে-পার্টিই পাবেন
      • আমি কার্তিকেয়, যুদ্ধের দেবতা
      • এ-নাও হৃৎপিণ্ডখানা
      • কমরেড পু-এর আত্মহত্যা - একটি পোস্টমডার্ন কবিতা
      • চীনা মেয়ে
      • স্যার, শুধুমাত্র কবিতার জন্যে
    • ►  March (1)
    • ►  February (4)
    • ►  January (15)
  • ►  2019 (71)
    • ►  December (2)
    • ►  August (1)
    • ►  July (16)
    • ►  June (50)
    • ►  April (1)
    • ►  January (1)
  • ►  2018 (37)
    • ►  December (3)
    • ►  November (6)
    • ►  October (4)
    • ►  September (2)
    • ►  August (16)
    • ►  July (2)
    • ►  May (1)
    • ►  April (1)
    • ►  March (1)
    • ►  January (1)
  • ►  2017 (5)
    • ►  December (3)
    • ►  August (1)
    • ►  March (1)
  • ►  2016 (11)
    • ►  December (1)
    • ►  November (7)
    • ►  October (1)
    • ►  September (2)
  • ►  2015 (6)
    • ►  February (6)
  • ►  2014 (1)
    • ►  May (1)
  • ►  2012 (3)
    • ►  August (3)
  • ►  2010 (2)
    • ►  June (2)
Simple theme. Powered by Blogger.